করোনার জের : বন্ধ করে দেওয়া হল বাঁকুড়ার বড়জোড়া বাজার

2nd August 2020 11:20 am বাঁকুড়া
করোনার জের : বন্ধ করে দেওয়া হল বাঁকুড়ার বড়জোড়া বাজার


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : আজ থেকে শুরু হোল বড়জোড়া বাজার লকডাউন, চলবে ৫ তারিখ পর্যন্ত বড়জোড়া এলাকাতে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকার জন্য বড়জোড়া গ্রামপঞ্চায়েত, গ্রাম্যষোলআনা, চেম্বার অফ কমার্স এবং বড়জোড়া মিষ্টান্ন সমিতি যৌথভাবে বাজার বন্ধের সিধান্ত গ্রহণ করে।আজ এলাকাতে গিয়ে দেখাগেল সব্জিবাজার, মাছের বাজার, ফলের বাজার সহ সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় লোকজনও নেই। তবে জরুরীপরিষেবা গুলি চালু রয়েছে। প্রসঙ্গত গতকাল ৭ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। মাঝে গতপরশু বাদ ছিল। তার আগে ২৪ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তবে এখনও পর্যন্ত বড়জোড়াতে একদিনে ৪৪ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যদিও বেশির ভাগ আক্রান্ত ব্যাটেলিয়ানের জোয়ানরা। তবে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন বেশ কিছু আক্রান্ত। 

রাজ্যসরকার সেফহাউস তৈরীর যে মডেল চালু করেছে বড়জোড়াতে তা প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। ১৩ নম্বর ব্যাটালিয়ানের ব্যারাকে দুটি হলঘরে আক্রান্ত ৮৮ জনকে রেখে চিকিৎসা করছে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেফ হাউসে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। টাইপ ১ টাইপ২ আক্রান্তদের এখানে রাখা হয়েছে। সমস্ত কিছু রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও আই সি এম আরের গাইড লাইন মেনেই করা হচ্ছে। আক্রান্তদের অবনতি হলে ওন্দা কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল দে জানালেন মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে বাজার বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। ফল ব্যবসায়ী অশোক দে জানালেন তারা এই বাজার বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন। সাময়িক ব্যবসার ক্ষতি হলেও বড়জোড়াকে সুরক্ষিত রাখতে তারা সহযোগিতা করছেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।